ভাবনার স্প্রে ০০৮
৮. ধন্যবাদ পর্ব
মন্তব্যে রেটিং দেয়া গেলে কেমন হতো? পোস্টের চেয়ে অনেকের মন্তব্যই স্বচ্ছ, যৌক্তিক মনে হয়।
এ সিরিজের আগের দুটো পোস্ট-এ ('কারণ আমরা মাদ্রাসায় পড়ি' এবং 'চিন্তা নিয়ে চিন্তা') সেসব মন্তব্য এসেছে, তার মধ্যে রেটিংয়ে এগিয়ে থাকতেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী। পাঁচে সাত দিতাম। উৎসাহ বলুন, ভিন্নমত বলুন, সহনশীল ভঙ্গিতে বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা করেন।
পাঁচে ছয় পেতেন উৎস। না, তিনি আমার ব্লগে মন্তব্য করেননি। কিন্তু তাঁর মিম বিষয়ক পোস্টটি উল্লেখযোগ্য। আমার পোস্টটির আনুসঙ্গিক লেখা হিসেবে সম্মান করছি। তার বাকি লেখাগুলো ভাবনার খোরাক যোগায়।
পাঁচে পাঁচ পাবেন মুখফোড়। উপাত্তসহ প্রাসঙ্গিক হয়েছে বক্তব্য। আকাশও পাবেন পাঁচ। আমার মতের সাথে মিলছে না যদিও। কিন্তু বক্তব্যের স্বচ্ছতার জন্য ভালো লেগেছে।
তারপর থাকতেন যৌথভাবে সুমন চৌধুরী ও মহুয়ামঞ্জুরী। মন্তব্যের মধ্যে কেমিস্ট্রি ছিল!
দীক্ষক দ্রাবিড় পেতেন তিন। আরও বেশি পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। বিশেষ করে তাঁর প্রথম পোস্ট 'নতুন ঈশ্বর আবশ্যক'-এর বিষয় ও উপস্থাপনা অন্ধবিশ্বাসের গোড়ায় নাড়া দেয়। তবে ইদানীং ট্যাগট্যাগ খেলার অপেক্ষমান তালিকায় তাঁর নাম দেখে ভালো লাগছে না।
অপ বাক লিখেছেন বিস্তারিত। ভাষাগত কারণে তাঁর মূল বক্তব্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমার মতো অবস্থা! পাবেন দুই।
লুনা রুশদী লিখেছেন 'ভালো লেগেছে।' মিনিমালিস্ট হয়ে গেলেন নাকি? বিস্তারিত লিখে ভালো লাগার ব্যাপারটা আরেকটু জানাতে পারতেন। দেখছেন না, আমাদের ভালো লাগাগুলো কেমন গোলমেলে। দুই পাবেন।
হিমু কত পাবেন বলা মুশকিল।আমরা দুজন মুড়ি (চানাচুরসহ) খাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। মনে পড়ে? তাঁর কাছ থেকে উল্টো আরো দুই পয়েন্ট নিবো। মুড়ি খাবো বলে!
ঝড়ো হাওয়া, শরীফ আবদুল্লাহ, মোঃ আবু সাঈদ, অমি রহমান পিয়াল, সাঈদ আবদুল্লাহকেও ধন্যবাদ মন্তব্য দেয়ার জন্য। মুখফোড় এটাকে হয়তো বলতেন, ব্লগের ধমনীতে রক্ত যুগিয়েছেন তারা।
মন্তব্য লিখেননি অনেকে। কিন্তু লেখা দুটি পড়েছেন (পেজ হিট সংখ্যা দেখে এ অনুসিদ্ধান্ত)। চুপ থেকেছেন। মনে মনে গালি দিয়েছেন হয়তো। পরবর্তী লেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। সবাইকে সহনশীলতার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য ধরে ধরে তো একচোট নম্বর দিলাম। কিন্তু যদ্দূর জানি, মন্তব্য/মতামত মাছের বাছারের গোল আলু না। নম্বর দিয়ে লেখার সেরাত্ব বা ভালোত্ব কীভাবে বোঝা যায়? আমাদের, মানে ব্লগারদের, রেটিং করার মানদণ্ড কি সমান?
মন্তব্য বা ব্লগপোস্টে তাই এভাবে সংখ্যাভিত্তিক রেটিং দেয়ার বিপক্ষে আমি। পরিসংখ্যান দিয়ে কীভাবে ভুল তথ্য পরিবেশন করা যায়, পরবর্তী কোনো লেখায় তা বলার চেষ্টা করবো।
ভালো থাকবেন।
[- শেষ - ]
1 comment:
সামহোয়্যারইন ব্লগে দেয়া মন্তব্য
_____________________
শোহেইল মতাহির চৌধুরী বলেছেন :
২০০৬-০৪-০৩ ২১:০৪:০৪
জিকোর এতগুলো লেখা চোখে পড়েনি। কিন্তু কেন? আমি তো প্রতিদিন বরং বলা যায় সারাটা দিনই ব্লগে কিছুক্ষণ পর পর চোখ বুলাই। জিকোর লেখা দেখলে অবশ্যই পড়তাম। এখন একসাথে এতগুলো পড়লাম। তাতে একটা বদহজমের আশংকা থেকে গেল। তার মানে প্রথম পাতায় জিকোর লেখাগুলো আসছে না। তা জিকো কি নিজেই বোতাম টিপে এটি করছে। নাকি কারিগরী ত্রুটিতে।
যা হোক, 5 এ 7 পাওয়ার ঘটনায় আমি আহ্লাদিত। জিকোকে নিশ্চয়ই যথেষ্ট উৎসাহিত করেছি বলে সে মূল নম্বরের অতিরিক্ত পক্ষপাত করছে। তবে জিকোর লেখার প্রশংসা করে কয়েক পাতা লিখতে পারি। কিন্তু ব্লগের আরো বাকী সবার সামনে প্রকাশ্যে তা করা ঠিক হবে না। শুধু এটুকুই বলি অনন্যসাধারণ একটি ভাষাভঙ্গি তৈরি করেছে জিকো। বাংলাদেশে থাকি না বলে নতুন লেখকদের ভাষাভঙ্গি সম্পর্কে আমার তথ্যভান্ডার হালনাগাদ নয়। কিন্তু জিকোর ভাষায় সমকালীন তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্নআঙ্গিকের একটি সাবলীল সমন্বয় ঘটেছে। এটি তার ভাষাকে খুবই গতিময়, সাম্প্রতিক ও সরস একটি ভঙ্গি দিয়েছে।
অনেক বড় মাপের মৌলিক সাহিত্য কর্মে জিকোর ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত। এবং তা এখনই।
_____________________
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৫-১১ ০৩:০৫:৫১
শোহেইল ভাইয়ার সাথে আমি পুরোপুরি একমত। ছোট ছোট বাক্যে জিকো অদ্ভুত মায়া তৈরি করতে পারেন। পুরোটা শেষ না করে ওঠা যায় না।
_____________________
Post a Comment