Friday, February 15, 2008

ইউনিকোড পাঠ ১১ (শেষ কিস্তি)

এগারো.
দরকার নেই ইউনিকোড। এর চেয়ে পাবদা মাছ খাবো। নয়তো কুইনাইন, প্লাস্টিকের ফুল, মঞ্চনাটক, মিসকল, যা পাই। আর এই শপথ করলাম, বন্যাদুর্গতদের জন্য পরের বার ত্রাণ সংগ্রহ করবো। সত্যি বলছি, ফটো তুলবো না ত্রাণ বিলিয়ে। তাও আর ইউনিকোড পাঠ নয়।

ইউনিকোড পাঠ-এর প্রথম দশ কিস্তি পড়ার পর এই হলো পাঠক প্রতিক্রিয়া। কত কারিগরি কথাশব্দবাক্য যে মাথার উপর দিয়ে এবং ডান কানের বাঁ পাশ দিয়ে চলে গেছে। অবশ্য কিছু প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে ইউনিকোড নিয়ে, ভুল না ঠিক কে জানে।

রাগ কমলে ভাবলেন, নাহ, ছেলেটা এত করে বলছে, দেখি একটু ইউনিকোডে বাংলা লিখে।

প্রথমে ইন্টারনেট থেকে ইউনিকোড-ফন্ট নামালেন। তারপর ইনস্টল করলেন। ওয়ার্ড খুলে বাংলা লিখতে যাবেন, বাহ, লিপির এ কী হাল! যুক্তবর্ণ, কার, ফলা সব গেছে ভেঙে, আগেপরে, উল্টোপাল্টা হয়ে। আর বাংলা লিখবেনই বা কেমন করে, কিবোর্ড যে ইংরেজি। বাংলা হরফ ছাপা আছে বটে কিবোর্ডে, কিন্তু সেইমতো মনিটরে দেখাচ্ছে না।

মাইক্রোফোন টেনে ইউনিকোডের কয়েক বংশ উদ্ধার করলেন। এবং নীতিবাক্য দাঁড় করালেন মনে মনে, শুধু বাংলা ফন্ট ইনস্টল করলে জীবনে সুখী হওয়া যায় না। একনাগাড়ে বলেই গেলেন। সুখ নাই। সুখ নাই।

আর আমি সেই কখন থেকে বলে যাচ্ছি, ফন্ট থাকলেই হয় না, অপারেটিং সিস্টেমেও কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট সাপোর্ট থাকতে হবে। সাথে বাংলা ইনপুট দেবার কোনো ব্যবস্থা।

এসব আবার কোত্থেকে এল?

ধ্যাত, আগে জানলে এই ইউনিকোডে চড়তাম না।
______________________
বেশি তরল করে বললাম। এ কিস্তির মূল পয়েন্ট, কম্পিউটারে ইউনিকোড পদ্ধতিতে বাংলা লিখতে গেলে লাগবে :

ক. অপারেটিং সিস্টেমে কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্টের সমর্থন
খ. কিবোর্ড লেআউট ম্যানেজার বা বিকল্প ইনপুট পদ্ধতি
গ. ইউনিকোড সমর্থিত কোনো বাংলা ফন্ট

আরও দেখুন : জিকোবাজি বাংলা ইউনিকোড সেটআপ গাইড

এটাই শেষ কিস্তি আপাতত।

No comments:

Post a Comment