Saturday, February 2, 2008

ইউনিকোড পাঠ ০১

শূন্য.
শুনে খুশি হবেন, এ লেখা প্রতি পাঁচ লাইন পর পাঠক হারাবে।

প্রথম কারণ, মূল লেখাটা বেশ বড়। গজ-ফুটে মাপলে এই এত্ত বড়। লিখেছিলাম অনেক আগে। কেটেছেঁটে মাসিক কম্পিউটার জগৎ-এ ছাপা হয়। প্রচ্ছদ রচনা হিসেবে। ফেব্রুয়ারি দুই হাজার পাঁচে।

দ্বিতীয় কারণ, লেখাটা ইউনিকোড ও বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে। কম্পিউটার সংক্রান্ত। ফলে কারিগরি শব্দ প্রচুর। শব্দের ভারে দড়ি ছিড়ে যায়যায়। আর বাক্যগুলো ছিল এত্তো লম্বা, কমসে কম ট্রেনের দুই বগির সমান, সেটা স্রেফ আমার লেখনী শৈলীর গুণে।

যাই হোক, তবু দিলাম, সাহস করে, বেশ কিছু অংশ বাদ এবং বদল করে। তথ্য হালনাগাদ করতে পারিনি সবখানে। কোথাও তথ্যগত ভুল থাকলে, অস্পষ্টতা থাকলে, জটিল বাক্যবিন্যাস থাকলে, মন্তব্যঘরে লিখে দিন নিঃসংকোচে, সরাসরি।

এক.
বাংলা কম্পিউটিংয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় ইউনিকোড বিষয়টির ওপর। কিন্তু ইউনিকোড কী, বাংলা কম্পিউটিংয়ে এর গুরুত্ব কতটুকু, এ নিয়ে অনেকের ধারণাই স্পষ্ট নয়।


বাংলার নামে ইংরেজিতে টাইপ
কম্পিউটারে বাংলায় টাইপ করছি বললেও আমরা এতদিন ইংরেজিতেই টাইপ করেছি। বাংলার জন্য আলাদা কোনো কোডসেট না থাকায় ইংরেজি অক্ষরের চেহারার উপর বাংলা চেহারা বসিয়ে ছাপার কাজ চালিয়েছি। তাতেও বাংলা টাইপিং সমস্যা দূর হয়নি। দেখা গেছে, এক বাংলা সফটওয়্যার দিয়ে টাইপ করা ডকুমেন্ট অন্য সফটওয়্যার দিয়ে সম্পাদনা করা যায় না। কারণ বাংলা টাইপ করার সফটওয়্যারগুলো একটি নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড না মেনেই হরেক রকম বাংলা ফন্ট ব্যবহার করত। কেউ হয়ত এক ফন্টে A অক্ষরের চেহারা বদলে ‘ক’ করেছে, আবার কেউ সেই A বদলে করেছে ‘চ’। তাই ভুল করে ফন্ট বদলে দিলেই বাংলা লেখা কিম্ভুতকিমাকার হয়ে যেত। অথচ ফন্ট স্ট্যান্ডার্ড বা বাংলা কোডসেট প্রমিত না করে আমরা ভেবেছি, একটি প্রমিত কিবোর্ড লেআউট হলেই বুঝি সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, ভারত অনেক আগেই তাদের আঞ্চলিক ভাষাগুলো কম্পিউটারে প্রয়োগের জন্য ইসকি (ISCII) এনকোডিং স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করে নেয়। এ প্রমিত কোডসেট মেনে চলায় তাদের কিবোর্ড বা ফন্ট বদলালেও লেখা পড়তে কোনো অসুবিধা হয়নি।
______________________________
দ্বিতীয় কিস্তি আসছে।
এতটুকু হজম হোক আগে।
আমি এই ফাঁকে দুপুরের খাবার সেরে আসি।

No comments:

Post a Comment