Thursday, August 23, 2007

কারফিউ লিপি ১: সাংবাদিক প্রহার এবং অন্যান্য

১.
কারফিউ শুরু হয়েছে রাত আটটা থেকে। এখন রাত পোনে বারো। ২২ আগস্ট ২০০৭।

বিডিনিউজের খবর, এর মাঝে ১২ জন সাংবাদিক আটক, সেনা সদস্যের হাতে। পেশাগত পরিচয়পত্র দেখিয়েও রেহাই পাননি তাঁরা। লাঠি, হকিস্টিক ও বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করেছে বিডিনিউজ-এর সাংবাদিকদের। অথচ সরকারি প্রেস নোটে বলা হয়েছে, কারফিউ পাস হিসেবে নিজের পরিচয়পত্র ব্যবহার করা যাবে।

আটক সাংবাদিকরা হলেন বিডিনিউজের লিটন হায়দার, বিপ্লব রহমান, আসিফ আহমেদ রম্য, বৈশাখী টিভির আনিস আলমগীর, দৈনিক সমকালের আবদুল মজিদ, নিউ এজ-এর সানাউল হকসহ সিএসবি নিউজ-এর তিন জন সাংবাদিক। মুক্তি চাই আটক সাংবাদিকদের। এক্ষুণি। (আপডেট /২৩ আগস্ট রাত ১টা : মুক্তি দেয়া হয়েছে তাঁদের।)

সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক কার্যকলাপে তীব্র ঘৃণা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

প্রাসঙ্গিক ব্লগপোস্ট :
- আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের কারফিউ - দেশী ভয়েস
- ব্লগার বিপ্লব রহমানের মুক্তি চাই - শোহেইল মতাহির চৌধুরী
- সাংবাদিক আটক কি ব্যারিস্টার মইনুলের ক্ষমতা প্রয়োগের দৃষ্টান্ত? - তানভীর আহমেদ

২.
২৩ আগস্ট ২০০৭, রাত ২টা। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক এখনও বন্ধ। সরকারি নির্দেশ ছিল, ২২ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আবার শুনছি, নির্ভরযোগ্য সূত্র নয় যদিও, ইন্টারনেট সংযোগও কিছুক্ষণ পর বিচ্ছিন্ন করা হবে।

৩.
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা। সাথে সব আবাসিক হল-হোস্টেল খালি করার নির্দেশ, রাত আটটার ভেতর। নির্দেশ এসেছে মাত্র ঘণ্টাকয়েক আগে। রাত আটটার পর খবরে শোনা গেল, মেয়েরা হলে থাকতে পারবে রাতটুকু। অথচ সে কথা আগে প্রচার করা হয়নি।

৪.
ব্লগার অয়ন জানিয়েছেন, সেনাক্যাম্প সরিয়ে নেয়ার পর আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকেছে সেনাবাহিনী। টহল দিচ্ছে তারা, জিপগাড়িতে চড়ে। সাংবাদিক হাসান শরিফ খবর শুনেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে পড়া ছাত্রদের নাকি সেনা সদস্যরা মারধর করে নিয়ে গেছে।

বন্ধু জাকিরের সাথে শেষ কথা হয়েছে সাড়ে পাঁচটায়। চিন্তা হচ্ছে হলের বাকি বন্ধুদের জন্য। যোগাযোগের উপায় নেই। হাসান শরিফও তাই ভাবছেন

জানি না আর কী অপেক্ষা করছে!

No comments:

Post a Comment