যে কারণে তোমাকে আর চিঠি লিখি না
১.
তোমাকে একটা চিঠি লিখবো আজ।
কিন্তু কী লিখবো? খসড়া করা যাক।
প্রথমত, লিখতে পারি, আমাদের দুজনের মিল। সঠিক করে বললে, 'ঋণাত্মক অমিল'। গাণিতিকভাবে সিদ্ধ হলো কথাটা। হলো তো?
দ্বিতীয়ত লিখবো, তাৎক্ষণিক ভাবনা কোনো। ঠিক এই মুহূর্তের ভাবনা, যা আসে মাথায়, খপ করে ধরবো, আর লিখে ফেলবো। বেশি ভাবলেই যুক্তির ছুরির তলে চলে যাবে ভাবনা। কে-কী-কেন-কখন-কোথায়-কিভাবে প্রশ্নগুলো ধর্ষণ করবে সদ্যজাত ভাবনাকে, মাথার ভেতর। আমি, নৈতিকভাবে, তার বিপক্ষে।
তৃতীয়ত, বলে নিই, এইসব প্রথমত-দ্বিতীয়ত ক্রম মেনে চিঠি লিখা যায় না।
চতুর্থত বলে কিছু নেই। আপাতত।
২.
কিন্তু কেন লিখবো তোমাকে?
আবার পড়ো উপরের প্রশ্নটা।
এবার তুমি যদি জোর দাও কেন শব্দে, তার মানে প্রশ্নে আমি জানতে চাইছি তোমাকে লেখার কারণটা।
যদি জোর দাও লিখবো শব্দে, বাক্যের মানে কিন্তু পাল্টে যায়। মানে হলো এখন, তোমাকে ফোনে-ফেসবুকে-ম্যাসেঞ্জারে না বলে কেন লিখবো?
আর যদি জোর দাও তোমাকে শব্দে, তখন অনেক বিকল্প 'তুমি' ঘিরে ধরবে তোমাকে। কেন এ সময়টুক, চিঠিখানি অন্য কোনো 'তোমাকে' নয়? ইত্যাদি।
এভাবে আমার প্রতিটি বাক্যপাঠে তুমি ভুল বুঝতে পারো আমাকে। তবু লিখবো আমি।
কী? জ্ঞান দিচ্ছি বলে রেগে যাচ্ছো?
রেগে গেলে তো হবে না।
যাও, রেগে যাও।
লিখলাম না আর চিঠি।
_______________________
- ইশতিয়াক জিকো / ২৬ অক্টোবর ২০০৭, ঢাকা
1 comment:
matattok!!....hoyto shamne aro marattok ase......but apatoto eta tei kait!
Post a Comment